৩৮তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার জনাব মাহবুবুল ইসলামের বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির দিকনির্দেশনা

Admin

৩৮তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার জনাব মাহবুবুল ইসলামের বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির দিকনির্দেশনা

৩৮তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার জনাব মাহবুবুল ইসলামের বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির দিকনির্দেশনা
৩৮তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার জনাব মাহবুবুল ইসলামের বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির দিকনির্দেশনা


বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির দিকনির্দেশনাসমূহ


১। প্রিলির জন্য শর্টকাট কিংবা কোন একক স্ট্র্যাটেজি নাই। 

২। প্রিলি পরীক্ষা একটি জুয়া খেলার মত। অনেক ভালো প্রস্তুতি নিয়েও অনেক সময় প্রিলিতে পাশ করা যায় না। আবার কেউ কেউ তুলনামূলক কম সময় প্রস্তুতি নিয়ে ভালো করে। তাই বলে পড়ালেখা বাদ দেওয়া যাবে না 

৩। প্রিলিতে মোট ২০০ মার্কের প্রশ্ন আসে। প্রতিটা ভুল উত্তরের জন্য .৫ মার্ক কাটা যাবে।
৪। প্রিলিতে পাশের জন্য নির্ধারিত কোন মার্ক নেই। কাটমার্ক (Threshold) থাকে। পরীক্ষা অনুযায়ী কাটমার্ক ভিন্ন হয়। ১১০-১২০ স্কোর নিরাপদ বলা যায়। তবে পরীক্ষা অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে। 

৪। প্রিলিতে টপিক একাধিক। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, গণিত, মানসিক দক্ষতা,বাংলাদেশ বিষয়াবলী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিজ্ঞান, কম্পিউটার, ভূগোল ও পরিবেশ,সুশাসন ও নৈতিকতা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি টপিক থেকে প্রশ্ন আসে। 

৫। প্রিলিতে অধিকাংশ প্রশ্ন নির্ধারিত টপিক থেকেই আসে। টপিকবেজড প্রস্তুতি নিতে হবে। 

৬। আপনি যে টপিকগুলোতে ভালো করবেন সেগুলোতে বেশি ফোকাস দিন। কারণ আপনার প্রয়োজন কাটমার্ক। বেশি মার্ক না। তাই ১২০ এর টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কোন একক বিষয়ে ভালো কিংবা খারাপ করলে কিছু যায় আসে না। যেমন আপনি ম্যাথও চাইলে Avoid করতে পারেন। 

৭। প্রিলিতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল Confusion. যার কারণে জানা জিনিস উত্তর করা কঠিন। ৪টি অপশন থেকে বেস্টটা নির্বাচন করাটা অনেক সময় কঠিন লাগে। তাই বেশি বেশি করে মডেল টেস্ট দিতে হবে। কোচিং কিংবা গাইড বই দেখে মডেল টেস্ট দিন। নিম্নমানের মডেল টেস্ট থেকে দুরে থাকুন। 
৮। প্রিলি পরীক্ষায় শুরুতে যে প্রশ্নের উত্তরগুলো জানা আছে সেগুলো আগে Answer করুন। তারপর একটু কাউন্ট করে ফেলুন। দেখে নিন আপনি কতটি সঠিক উত্তর দিলেন। যেগুলোতে কনফিউশন সেগুলো গোল করে মার্ক করে রাখুন। পরবর্তীতে আবার শুরু করুন। এভাবে ১১০-১২০  এই রেঞ্জের মত মার্ক যদি দেখেন তুলতে পারছেন তাহলে বাকি প্রশ্নের উত্তর সাবধানে করুন। অযথা বেশি ভুল উত্তর দিয়ে সুযোগ মিস করার মানে নেই। তবে একদম কম উত্তর দিলে রিস্ক থেকে যায়। তাই নিজের সঠিক উত্তর ও ভুল উত্তরের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে যান। 

৯। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ম্যাথ করবেন শর্টকাটে কিংবা ব্যাক সলভ পদ্ধতিতে। এতে সময় বাঁচবে। 

১০। নৈতিকতা ও সুশাসনের প্রশ্ন সবচে্যে সহজ কিন্তু আপনি উত্তর দিতে গেলে ভুল হবে বেশি। তাই এক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকা চাই। আবেগে বেশি উত্তর দেওয়া মোটেও সুখের নয়। 

১১। ডাইজেস্ট না পড়ে নিজের মত করে নোট করুন। 

১২। পরীক্ষার আগের অতি সাম্প্রতিক (১৫/২০ দিন ভেতর) প্রশ্ন প্রিলিতে আসার সম্ভাবনা কম। কারণ প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও ছাপার কাজ তার আগেই হয়ে যায়। বরং, বিগত ৬/১২ মাসের তথ্য জানা জরুরি।



জনাব মাহবুবুল ইসলাম
সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট 
৩৮তম বিসিএস