Posts

বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় কী কী পড়বেন?

বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় কী কী পড়বেন?
Admin

 বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় কী কী পড়বেন?

বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় কী কী পড়বেন?


প্রথম ধাপ: নিজের অবস্থান বুঝুন

  • ৩৫ থেকে সর্বশেষ বিসিএসের লিখিত প্রশ্ন সংগ্রহ করে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করুন।

  • বুঝে নিন কোন বিষয়গুলো আপনার দুর্বল, কোনগুলোতে ভালো।

📒 লিখিত পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি গাইড

🅰️ বাংলা (২০০ নম্বর – সাধারণ ক্যাডার)

  • সাহিত্য: প্রিলির প্রস্তুতির টপিকগুলো পুনরায় পড়ুন, সাথে ডাইজেস্টে যেগুলো বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে সেগুলো।

  • ব্যাকরণ: সিলেবাস অনুযায়ী গঠনমূলকভাবে পড়ুন, সহজ অংশ আগে শেষ করুন।

  • রচনা ও প্রতিবেদন: লেখার প্র্যাকটিস করুন, ৫০-১০০টি বাণী মুখস্থ রাখুন, ভালোভাবে অনুশীলন করুন।

  • অনুবাদ: বাংলা-ইংরেজি ও ইংরেজি-বাংলা দুটোই নিয়মিত চর্চা করুন।

🅱️ ইংরেজি (২০০ নম্বর)

  • অনুবাদ, Essay writing, précis writing, paragraph writing, grammar—সব কিছুতে অনুশীলন জরুরি।

  • অনুবাদ চর্চার মাধ্যমে vocabulary ও sentence structure শিখে যাবেন।

  • প্রতিদিন লিখুন। নিজের লেখা নিজেই পড়ুন, ভুল খুঁজুন।

গণিত ও মানসিক দক্ষতা (১০০ নম্বর)

  • সিলেবাস অনুযায়ী বড় একটা খাতা বানান – প্রতিটি অধ্যায়ের আলাদা জায়গা।

  • ৩৫ থেকে সাম্প্রতিক বিসিএসের প্রশ্ন সমাধান করুন।

  • খুব বেশি নয় – কম কিন্তু গভীরভাবে ম্যাথ শিখুন।

  • মানসিক দক্ষতার জন্য একটি ভালো গাইড বই রাখুন (যেমন: MP3, Professors')।

🔬 বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি (১০০ নম্বর)

  • হাইস্কুলের বই থেকে সিলেবাস অনুযায়ী টপিক পড়ুন।

  • ডাইজেস্ট এবং বিগত প্রশ্নগুলো মিলিয়ে গুরুত্বপূর্ণ টপিক চিনে পড়ুন।

🇧🇩 বাংলাদেশ বিষয়াবলী (১০০ নম্বর)

  • ইতিহাস, সংবিধান, অর্থনীতি – ডাইজেস্ট থেকে পড়া চালিয়ে যান।

  • মাঝে মাঝে লিখে নিজেই পড়ুন – নিজেই বুঝবেন কোথায় সমস্যা।

🌐 আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী (১০০ নম্বর)

  • সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহ ও বিগত প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করুন।

  • ডাইজেস্ট থেকেই যথেষ্ট। দরকার হলে কয়েকটি Model Answer প্রস্তুত রাখুন।

🗂️ প্রফেশনাল / টেকনিক্যাল ক্যাডারদের জন্য

  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ২০০ নম্বর থাকবে।

  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বই বা ডিপার্টমেন্টাল গাইড ব্যবহার করুন।

  • লিখিত প্রশ্ন দেখে বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি নিন।

📝 সামগ্রিক পরামর্শ

  • সিলেবাস ও বিগত প্রশ্নই হলো রোডম্যাপ।

  • ডাইজেস্ট একটা নির্ভরযোগ্য রাখুন 

  • লিখিত পড়া অনেক – কম পড়ুন কিন্তু গভীরভাবে পড়ুন।

  • প্রতিদিন অন্তত কিছু লিখার অভ্যাস করুন।

  • প্রিন্টেড ম্যাটেরিয়াল, সাজেশন, প্রশ্ন ব্যাংক একসাথে গুছিয়ে রাখুন।

🎯 লক্ষ্য রাখবেন

  • লিখিত পরীক্ষায় পাশ নম্বর: ৫০% (৯০০ এ ৪৫০)

  • ভালো ক্যাডার পেতে চাইলে লক্ষ্য রাখুন ৬০% বা তার বেশি (৫৪০ বা তদূর্ধ্ব)

প্রস্তুতির সময় ধৈর্য ধরে, পরিকল্পিতভাবে পড়লে এই দীর্ঘ পরীক্ষাটিও সামলানো সম্ভব। নিয়মিত রিভিশন এবং লিখার অভ্যাসই এখানে সফলতার চাবিকাঠি।